আর্কাইভ

Posts Tagged ‘জবাবদিহী’

সেদিন সংসদে সদ্যপ্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াকে নিয়ে রাজনীতিবিদরা যা বলেছিলেন…

লোকে যারে বড় বলে
শাকিল ওয়াহেদ

যে কোন মানুষের মৃত্যুর পর সদ্যপ্রয়াত ব্যক্তিটি কেমন মানুষ ছিলেন তা সমাজে কমবেশী আলোচিত হয়েই থাকে। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পরও সারাদেশে শোকের ছায়া নেমে এসেছিল এবং সর্বস্তরের মানুষের মুখে মুখে তার সাদাসিধা জীবনাচরণ, তার সাফল্য-ব্যর্থতা, সাহসিকতা, দেশপ্রেম, মোহময় নেতৃত্বের গুণাবলী প্রভৃতি দিকগুলো ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছিল। একজন রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে কেমন ছিলেন তিনি? একজন মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনীতিক হিসেবেই বা কেমন ছিলেন? ব্যক্তি জীবনে কেমন জীবন যাপন করতেন? সাধারণ মানুষের মুখে মুখে তার জীবনের বিভিন্ন দিক যেমন আলোচিত হচ্ছিল তেমনি আলোচিত হয়েছিল তত্কালীন জাতীয় সংসদের অধিবেশনেও। সরকারী দলের নেতৃবৃন্দ যেমন আলোচনা করেছিলেন তেমনি প্রধান বিরোধী দলসহ অন্য সব জাতীয় নেতৃবৃন্দও তার জীবনচরিত পুঙ্খানুপুঙ্খ মূল্যায়ন করেছিলেন। সেই সব সারগর্ভ আলোচনা ইতিহাসেরই অংশ এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের মহাফেজখানায় সংরক্ষিত রয়েছে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩২ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে প্রকাশিত ক্রোড়পত্রে সেই ইতিহাসের খানিক পর্যালোচনা করা যাক।

চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে ১৯৮১ সালের ৩০ মে কিছু বিপথগামী সেনা কর্মকর্তার হাতে শাহাদাত বরণ করেন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। ১৯৮১ সালের ৩ জুন তারিখে দ্বিতীয় জাতীয় সংসদের সপ্তম অধিবেশনের অষ্টম বৈঠকে তত্কালীন স্পিকার মির্জা গোলাম হাফিজ একটি শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন। ওইদিনের সব কার্যসূচি স্থগিত রেখে শোক প্রস্তাবটির ওপর আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সংসদের সরকারী দল, প্রধান বিরোধী দলসহ অন্যান্য দলের নেতৃবৃন্দের আলোচনার পর উত্থাপিত শোক প্রস্তাবটি stamp-ziaসর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছিল। আলোচকদের সকলেই সদ্য প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য রেখেছিলেন।

তত্কালীন স্পিকার জনাব মির্জা গোলাম হাফিজ সংসদে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করে বলেছিলেন, ‘আমি অত্যন্ত দু:খ ভারাক্রান্ত ও বেদনাহত হৃদয়ে আপনাদের জানাচ্ছি যে, বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি জনাব জিয়াউর রহমান, বীর উত্তম আর আমাদের মধ্যে নেই। তিনি গত ১৯৮১ সালের ৩০শে মে ভোরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে কতিপয় দুষ্কৃতিকারীর হাতে নির্মমভাবে নিহত হয়েছেন (ইন্নালিল্লাহে…রাজেউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল প্রায় ৪৫ বছর। …মরহুম জিয়াউর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে গণতান্ত্রিক চেতনাবোধ জাগিয়ে তোলার একজন অক্লান্ত কর্মী ও নিবেদিতপ্রাণ। …স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্বাধীনতার অতন্দ্রপ্রহরী, গণতন্ত্রের সাধক, অকৃত্রিম দেশপ্রেমিক মরহুম জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে বিশিষ্ট আসন লাভ করে আছেন।…’

তত্কালীন সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী জনাব শাহ আজিজুর রহমান বলেছিলেন, ‘…তিনি ইতিহাসের পৃষ্ঠায় চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক হিসাবে। …তার জীবনের সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব সবচাইতে উল্লেখযোগ্য অবদান যা আমি মনে করি সেটা হচ্ছে, শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় মার্শাল ল থেকে গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তন। … যে কর্মচাঞ্চল্য এবং কর্মপ্রেরণা দেশবাসীর মধ্যে তিনি রেখে গিয়েছেন এটা হচ্ছে তার দুই নম্বর উল্লেখযোগ্য অবদান। তিন নম্বর অবদান হচ্ছে, তিনি বাংলাদেশের জন্য একটি multi party system বহুদলীয় গণতন্ত্র কায়েম করে গেছেন।…’

জাতীয় সংসদে তত্কালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য জনাব আছাদুজ্জামান খান বলেছিলেন, ‘জনাব স্পীকার, আজকে অত্যন্ত দুঃখভারাক্রান্ত মন নিয়েই এখানে বক্তব্য রাখতে হচ্ছে। …আজকে মরহুম জিয়াউর রহমান সাহেব আমাদের মধ্যে নেই। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, জনাব স্পীকার। …তিনি ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। জাতি সেটা স্মরণ করবে।…’

বাংলাদেশ জাতীয় লীগের প্রধান ও সংসদ সদস্য জনাব আতাউর রহমান খান বলেছিলেন, ‘…তিনি সরল-সহজ নিরলস জীবনযাপন করেছেন, অনাড়ম্বর জীবনযাপন করেছেন। মানুষকে ভালবেসেছেন এবং বাংলার জনগণের সঙ্গে তিনি একাত্মতা ঘোষণা করে তাদেরই একজন হয়েছিলেন। সাধারণ মানুষ মনে করত, জিয়াউর রহমান আমাদেরই মতো একজন সাধারণ মানুষ। তাকে তারা নিজেদের করে নিয়েছিল। এই গুণ সাধারণত অনেক নেতার মধ্যে পাওয়া যায় না। যার মধ্যে পাওয়া যায়, তিনি সত্যিকার অর্থে দেশের নেতা হতে পারেন। …’

গণতন্ত্রী পার্টির নেতা ও সংসদ সদস্য বাবু সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সংসদে আনা শোক প্রস্তাবে সমর্থন দিয়ে বলেন, ‘…৩০ মে থেকে ৩ জুন যে লক্ষ লক্ষ জনতা শুধু ঢাকা নগরীতেই নয়, গোটা বাংলাদেশে তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেছে, তার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে, আমাদের সাবেক রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের মানুষের কত কাছাকাছি এবং প্রাণপ্রিয় ছিলেন। এটা বলতে যদি কেউ কুণ্ঠাবোধ করেন, এটা তার মানসিক দৈন্য এবং তার রাজনৈতিক বিচক্ষণতার অভাব বলে আমি মনে করি। …এই যে লক্ষ লক্ষ জনতার স্রোত, কেন এসেছিল এই লাশটির পাশে, কেন এসেছিল জানাজায় ও গায়েবি জানাজায়? এসেছিল একটি মাত্র কারণে—সাবেক রাষ্ট্রপতির সততার প্রতি অভিনন্দন ও শ্রদ্ধা জানাতে। …আমি কীভাবে এ পার্লামেন্টে এলাম, কীভাবে আমি এখানে কথা বলছি? এটা সেই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ এবং বাংলাদেশে সেই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এভাবে চলছে। …রাষ্ট্রপতিকে কখন হত্যা করা হলো? ১৯৮০-তে নয়, ১৯৮১ সালের মে মাসে যখন রাষ্ট্রপতি দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন, যখন রাষ্ট্রপতি দৃঢ় প্রত্যয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম ঘোষণা করলেন, যখন শোষণহীন সমাজব্যবস্থার কথা বলতে চাইলেন, দক্ষিণ এশিয়া, পৃথিবীর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে গেলেন, সিরিয়ায় গেলেন, যখন নর্থ সাউথ ডায়ালগ ওপেন করতে গেলেন, আর সেই মুহূর্তে তার ওপর আঘাত এলো।…’

সংসদ সদস্য জনাব রাশেদ খান মেনন বলেছিলেন, ‘মাননীয় স্পীকার, মরহুম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সাহেবের ওপর আপনি যে শোক প্রস্তাব এনেছেন, তার প্রতি আমি আমার ব্যক্তিগত এবং দলের তরফ থেকে একাত্মতা ঘোষণা করছি। …মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে জিয়াউর রহমানের সঙ্গে আমার পরিচয়। তাকে সেভাবেই আমি দেখেছি, তাকে সেভাবেই আমি সম্মান করেছি। তার সঙ্গে তার যে কীর্তি, সেই কীর্তি অমর এবং অক্ষুণ্ন থাকুক—এটা কামনা করি।…’

সাম্যবাদী দলের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ তোয়াহা বলেছিলেন, ‘…আজকে আমাদের মরহুম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সাহেবের প্রশংসার কথাই আমাকে বলতে হবে। সফলতা এবং ব্যর্থতা নিয়েই মানুষের জীবন। মানুষকে বিচার করতে হবে—তার সফলতার দিক প্রধান, না ব্যর্থতার দিক প্রধান সেদিক থেকে। আমি নিঃসন্দেহে বলতে চাই, মরহুম জিয়াউর রহমান তার সফলতা নিয়েই আমাদের মধ্য থেকে বিদায় নিয়েছেন। …লিডারশিপ সম্পর্কে একটা কথা আছে, Some people are born leaders, leadership is thurst upon somebody, some acquire leadership বোধহয় শেষোক্ত দুটি কারণেই আমরা তাকে Leader হিসেবে দেখেছি। জাতির জীবনের এক সঙ্কটপূর্ণ মুহূর্তে তার ওপর এই গুরুদায়িত্ব অর্পিত হয়েছিল। তিনি নেতা হয়ে জন্মাননি। একটা বিশেষ ঘটনাপরম্পরায় তার ওপর দায়িত্ব এসেছিল এবং তার পরবর্তী বছরগুলোতে তিনি সে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে He has acquired all the art of leadership. তাই আজ বলব, বিশ্বপরিসরে যাদের আমরা সাধারণত এত্বধঃ খবধফবত্ বলি, জেনারেল জিয়া সাহেবকে সেইরূপ Great Leader-এর পর্যায়ভুক্ত আমি বলতে চাই। …গোটা বিশ্বে তিনি বাংলাদেশকে তুলে ধরতে পেরেছেন সফলতার সঙ্গে। তিনি মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের একাত্মতা প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তৃতীয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জাতীয় স্বার্থের পক্ষে তিনি দাঁড়িয়েছিলেন।…’

ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) প্রধান অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমদ বলেছিলেন, ‘…তিনি একজন সাধারণ মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না, তিনি একজন সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি নিজ জীবনকে বাজি রেখে যুদ্ধ করেছেন এবং রেডিও মারফত স্বাধীনতার বাণী ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন। আমি যখন ঢাকা শহরেই আত্মগোপন অবস্থায় ছিলাম, তখন রেডিও মারফতই তার সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। পরবর্তী পরিচয়ের কথা বলে আমি দীর্ঘায়িত করতে চাই না। তিনি একজন determined লোক ছিলেন, তিনি একজন সত্ লোক ছিলেন এবং জনতার মধ্যে তার জন্য যেটা আপনারা লক্ষ করেছেন, সেটায় আমি দ্বিমত পোষণ করছি না। তিনি জনতাকে কিছু দিয়ে যেতে পেরেছিলেন, সেটার কারণেই নয়; জনতা বুঝতে পেরেছিল, তিনি কিছু দিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তারা বুঝতে পেরেছিল, তিনি একজন সত্ ও দেশপ্রেমিক লোক।…’

জাসদ নেতা ও সংসদ সদস্য জনাব শাজাহান সিরাজ বলেছিলেন, ‘…৩০শে মে মাননীয় রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মর্মান্তিক পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডে সারা জাতি মর্মাহত স্তম্ভিত। এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করার কোন ভাষা আমার নাই। মরহুম রাষ্ট্রপতির বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা ও মাগফেরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সহানুভূতি জানাচ্ছি।…’

আওয়ামী লীগ (মিজান) প্রধান জনাব মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘মাননীয় স্পীকার, মরহুম জিয়াউর রহমানের সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় হয়েছিল পাকিস্তানে, যখন ১৯৫৮ সালে মার্শাল ল’ দেয়া হয়। তারপরে তার সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল খেমকারান রণাঙ্গনে। আমরা পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের তরফ থেকে সেখানে গিয়েছিলাম। তারপর তার সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের সময়ে। বড় দুঃখের দিনের পরিচয়। চোখের জলের বিনিময়ে সেই পরিচয় আমাদের হয়েছিল। আজকে তিনি জীবিত নেই। মৃত্যু এ জীবনেরই পরিণতি। ধর্মীয় দিক থেকে বলুন, দার্শনিক দিক থেকে বলুন, কবির দিক থেকে বলুন, এসব মুখোমুখি এসব দেখাশোনা ক্ষণিকের মেলা। মানুষ আসে যাওয়ার জন্যই। তিনি গিয়েছেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো এই যে, এই মৃত্যু তো স্বাভাবিকভাবে হতে পারত।…’

আইডিএল প্রধান ও সংসদীয় দলের নেতা মাওলানা মুহাম্মদ আবদুর রহীম বলেছিলেন, ‘…মরহুম জিয়াউর রহমান সাহেবকে এদেশের জনগণ কখনই ভুলতে পারে না বলে আমি মনে করি। তিনি এই জাতি, সাধারণভাবে সমস্ত মানুষের জন্য, এদেশের কল্যাণের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে গিয়েছেন। মূহুর্তকাল তিনি বিশ্রাম নিয়েছেন বলে আমি মনে করি না। সব সময় তিনি দেশের উন্নতি, জনগণের সার্বিক কল্যাণ, এগুলি নিয়েই চিন্তা ভাবনা করে গিয়েছেন।…’

মুসলিম লীগ সংসদীয় দলের নেতা জনাব খান এ সবুর বলেছিলেন, ‘…জিয়াউর রহমান সাহেব সাদাসিধা জীবনযাপন করতেন। তার অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানদের জন্য এবং বিধবা পত্নীর জন্য তিনি একখানি বাড়ি রেখে যেতে পারেননি। তার ব্যাংক ব্যালান্সও নেই। এই ছেলেপিলেদের সাবালক হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার কোনো ব্যবস্থাই তিনি করে যেতে পারেননি। কেননা কোনোদিন টাকা পয়সার লোভ-লালসা তার ছিল—একথা তার শত্রুরাও বলতে পারবে না।…’

জাতীয় সংসদের উপরোক্ত অধিবেশনে উত্থাপিত শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনা অনুষ্ঠানের আগের দিন অর্থ্যাত্ ১৯৮১ সালের ২ জুন তারিখে জাতীয় সংসদের সামনে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই জানাজায় সেদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ অংশ নিয়েছিল এবং জানাজা পরিণত হয়েছিল এক জনসমুদ্রে। সারাদেশের কোটি মানুষের কান্না, চোখের জল আর দোয়া নিয়ে সেদিন শেষ বিদায় নিয়েছিলেন বাংলাদেশের জনগণের প্রাণপ্রিয় নেতা ও রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছিলেন জাতীয় সংসদেরই পাশে ক্রিসেন্ট লেকের পাড়ে। জৈবিকভাবে অনুপস্থিত থাকলেও তিনি আজো সগৌরবে বিরাজ করেন বাংলাদেশের হাটে-মাঠে-ঘাটে এবং তার প্রিয় জনগণের হৃদয়ের মণিকোঠায়।

লেখক : সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক,
বিএনপি; সহ-সভাপতি, জাতীয়তাবাদী তাঁতীদল;
মহাসচিব, এমবিএ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ম্যাব)

তথ্যসূত্রঃ দৈনিক আমার দেশ, ৩০ মে, ২০১৩