আসমা আসাদ দেশত্যাগের প্রস্তাব বহুবার প্রত্যাখ্যান করেছেন
সিরিয়ার ফার্স্ট লেডি আসমা আসাদ বলেছেন, গত পাঁচ বছরে তাকে দেশত্যাগের জন্য বহুবার প্রস্তাব দেয়া হলেও তিনি সেসব প্রত্যাখ্যান করেছেন; কারণ তিনি চাননি প্রেসিডেন্ট বাশার আল–আসাদের প্রতি জনগণের আস্থায় ভাটা পড়ুক।
মঙ্গলবার মস্কো থেকে প্রচারিত নিউজ চ্যানেল ‘রুসিয়া–২৪’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেন আসমা আল–আসাদ। সিরিয়ায় ২০১১ সালের মার্চ মাসে বিদেশি মদদে সহিংসতা শুরু হওয়ার পর এই প্রথম দেশটির ফার্স্ট লেডি কোনো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিলেন।
আসমা আসাদ বলেন, “আমি কখনো সিরিয়া ছেড়ে যাওয়ার চিন্তাই করিনি।… হ্যা, আমাকে সিরিয়া ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার বহু প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। আমার নিজের এবং সন্তানদের নিরাপত্তার গ্যারান্টির পাশাপাশি অর্থনৈতিক নিরাপত্তার নিশ্চয়তাও দেয়া হয়েছে।”
ব্রিটেনে জন্মগ্রহণকারী ৪১ বছর বয়সি সিরিয়ার ফার্স্ট লেডি মনে করেন, তার হিতাকাঙ্ক্ষী হিসেবে এসব প্রস্তাব দেয়া হয়নি বরং ‘প্রেসিডেন্ট আসাদের প্রতি জনগণের আস্থায় চিড় ধরানোর লক্ষ্যে ইচ্ছাকৃতভাবেই’ এমনটি করা হয়েছে।
এরকম ‘বোকামিপূর্ণ’ প্রস্তাব যারা দিয়েছিল তাদের কেউই সিরিয়ার নাগরিক নন বলেও জানান আসমা আসাদ। তিন সন্তানের জননী সাবেক ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকার আসমা আসাদ নিজেকে একজন মানবাধিকার কর্মী বলে পরিচয় দিতেও পছন্দ করেন।
২০১১ সালের মার্চ থেকে সিরিয়ায় যে সহিংসতা চলছে সেজন্য দামেস্ক কিছু পশ্চিমা দেশ ও তাদের আঞ্চলিক মিত্রকে দায়ী করে। জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো ও তাদের মদদদাতারা প্রেসিডেন্ট আসাদের পদত্যাগ দাবি করছে। কিন্তু দামেস্ক বলছে, সিরিয়ার শাসনভার কার হাতে থাকবে তা নির্ধারণ করবে দেশটির জনগণ; জঙ্গি বা তাদের মদদদাতারা নয়।
সূত্রঃ পার্স টুডে, ২০১৬–১০–১৯